প্রসঙ্গ : ঔষধ কোম্পানির কমিশন দুর্নীতি
লক্ষ্য করে দেখা যায় বিভিন্ন অসাধু ও নতুন কিছু ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে সরকারি প্রায় সব ডাক্তারের সাথে মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে ঔষধ বিক্রির চুক্তি করা হয়ে থাকে।
কমিশন প্রাপ্ত ডাক্তারেরা প্রায় সব প্রেসক্রিপশনের সাথে বিভিন্ন মানসম্পন্ন কোম্পানির চার প্রকার ঔষধ লেখার ফাঁকে কমিশন প্রাপ্ত অসাধু কোম্পানির মানহীন এক বা একাধিক ঔষধ প্রায়সময় ডাক্তারেরা লিখে দেয়।
ডাক্তারের এই ধরনের চালাকি সাধারণ লোকজনের পক্ষে তো বুঝা সম্ভবই নয়; অসাধারনেরাও প্রতিদিন ভুগান্তির মাঝে আছে।
ডাক্তারের এই চালাকি ধরাটা কিন্তু খুবই কঠিন! তবে কিছুটা বুঝা যায়, যখন দেখি ঐ সকল অসাধু কোম্পানির নিয়োগ প্রাপ্ত কিছু অল্প বয়সের শিক্ষিত যুবক / যুবতি সরকারি হাসপাতালের প্রতিটি ডাক্তারের চেম্বারের সামনে অপেক্ষমান থাকে, আর প্রতিটি রোগীর প্রেসক্রিপশন চেক করে দেখে তাদের মানহীন ঔষধ গুলো ডাক্তার লিখেছেন কি না?
এ বিষয়ের উপর লেখকের পরামর্শ হলো। যে কোনো সরকারের উদ্যোগ নিয়ে এই কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এবং সরকারি হাসপাতাল গুলো থেকে অসাধু ঔষধ কোম্পানির নিয়োগ প্রাপ্ত লোকদের কে প্রতিহত করতে হবে। প্রয়োজনে কঠিন আইন প্রয়োগ সহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানহীন ঔষধ বিক্রি বন্ধ করতে না পারলে। সারাদেশের জনগণ স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকবে এবং কোনো ভাবেই মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব হবে না।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকারের প্রথম কাজটি হোক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
সারাদেশের 42% নাগরিক আজকে চিকিৎসাধীন আছে। সর্দি কাশি জ্বর ডেঙ্গু থেকে শুরু করে মরণব্যাধি ক্যান্সার পযর্ন্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। জন স্বার্থের এই লেখাটি যেকোনো প্রিন্ট মিডিয়া অনলাইন সহ ফেসবুক বন্ধুরা প্রচার করতে পারেন।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।