আশিকুর রহমান:
গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা ও জীবিকার মান উন্নয়ন, গ্রামীন রাস্তাঘাট, গ্রামিন অবকাঠামো নির্মানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তার ঘুষবাণিজ্যের কারনে এলজিইডির প্রায়কাজে অনিয়ম দেখা যায়। এমন ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায় জেলার উলিপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ সঠিক নিয়মে না করলেও ঘুষের কালোটাকা হাতে ভরে দিলে কাজ শতভাগ হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন পাওয়া যায়।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় মৌজা মালতি বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেয়া ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের দুই লাখ টাকার কাজ। ৫০হাজার টাকার কাজও সম্পন্ন হয়নি। দপ্তর কাজ নির্ধারন করে দেয়া হলেও শুধুমাত্র রং, বৈদ্যুতিক ৪টি ফ্যান ও কয়েকটি ব্রেঞ্চ কিনে নজরুল ইসলামকে ঘুষ দিয়ে কাজ শতভাগ হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন নিয়ে এলজিইডি দপ্তরে পাঠান।রিপাইরিং ও মাটিকাটর কাজ বাকি থাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ফাইল আটকে দেন।একই চিত্র দেখা যায় ধামশ্রেনী সুড়িরডাড়া পাকা রাস্তা নির্মান কাজে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে বেড করায় স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ওঠলে ঠিকাদাড়ের কালোটাকার বিনিময়ে নজরুল ইসলাম কর্মকর্তাকে জানান খোয়া সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাস্তবেই ওই নিম্নমানের খোয়া দিয়ে বেডের কাজ করেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান এসব আমার কাজ না। অথচ তিনি কাজ তদারকি করেন ও কাজের বিল প্রদান করেন।নজরুল ইসলামের উপর মহলে আত্নীয় আছে বলে ভয় ভিতি দেখিয়ে অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী কে জিম্মি করে তার ইচ্ছে মত অফিস পরিচালনা করেন। তার কথার বাহিরে কেউ টাকা পয়সা না দিয়ে যাইতে পারে না স্থানীয় সরকার প্রকৌশলি দপ্তর প্রকৌশল সাদেকুল ইসলাম জানান মৌজা মালতি বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ সঠিক ভাবে না হওয়ায় ফাইল আটকে দেয়া হয়েছে।